সাব্বির হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশ উপজেলার ডাঙ্গা জামেয়ায়ে আশরাফুল উলুম দাখিল মাদ্রাসার সুপার মাওলানা শামসুল হকের মরদেহ দেখে অসুস্থ হয়ে মারা গেলেন একই প্রতিষ্ঠানের আরেক সহকারী শিক্ষক আব্দুল বাতেন। বৃহস্পতিবার (১২ জানুয়ারি) সন্ধার দিকে মাওলানা শামসুল হক মারা যান। এর ছয়ঘন্টা পর মারা যান আব্দুল বাতেন। একই প্রতিষ্ঠানের দুই শিক্ষকের মৃত্যুতে এলাকায় শোকের ছায়া নেমে আসে।
দুই শিক্ষকের পরিবার ও স্বজনদের সাথে কথা বলে জানা যায়, মাদ্রাসা সুপার মাওলানা শামসুল হক (৫৫) কিডনি রোগে আক্রান্ত ছিলেন। গতকাল বৃহস্পতিবার সন্ধা সাড়ে ছয়টার দিকে ঢাকার একটি হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনি মারা যান। মৃত্যুকালে তিনি স্ত্রী, তিন ছেলে ও এক মেয়েসহ বহুগুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
মাদ্রাসা সুপার মাওলানা শামসুল হকের মৃত্যুর খবর শুনে তাকে দেখতে রাতেই তাদের বাড়িতে ছুটে যায় সহকারী শিক্ষক আব্দুল বাতেন (৫৮)। সেখানে মরদেহ দেখে অসুস্থ হয়ে পড়েন তিনি। আগে থেকেই হার্টের রোগী ছিলেন। ৯ টার দিকে নিজ বাসায় পৌঁছার পর স্টোক করেন তিনি। পরে রাত একটার দিকে নরসিংদী জেলা হাসপাতালে নেওয়ার পথে তিনিও মারা যান। তিনি মৃত্যুকালে স্ত্রী, এক ছেলে ও এক মেয়েসহ বহুগুণগ্রাহী রেখে গেছেন।
এদিকে আজ শুক্রবার বিকেল আড়াইটায় মাওলানা শামসুল হকের জানাযার নামাজ নিজ বাড়ির সামনে পাকুরিয়া ঈদগাহ মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। দুপুর ১টা ৪০ মিনিটে আব্দুল বাতেন এর জানাযার নামাজ ডাঙ্গা উচ্চ বিদ্যালয় মাঠে অনুষ্ঠিত হয়। পরে মাওলানা শামসুল হককে পাকুরিয়া ও আব্দুল বাতেনকে হাসানহাটা গ্রামের নিজ নিজ পারিবারিক কবরস্থানে দাফন করা হয়।
আরো খবর..