নরসিংদীর রায়পুরায় মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদ চেয়ারম্যান ও যুবলীগ নেতা জাফর ইকবাল মানিককে গুলি করে হত্যার ঘটনায় মামলা হয়েছে।
সোমবার (৫ ডিসেম্বর) রাতে নিহত চেয়ারম্যান মানিকের স্ত্রী মাহফুজা আক্তার বাদী হয়ে প্রতিপক্ষ পরাজিত চেয়ারম্যান প্রার্থী মির্জারচর বিলেরপাড় এলাকার ফিরোজ মিয়ার ছেলে ফারুকুল ইসলামকে প্রধান আসামী করে ২১জনের নাম উল্লেখসহ অজ্ঞাত আরও ৪/৫ জনের বিরুদ্ধে রায়পুরা থানায় মামলাটি করেন।
মানিক হত্যার ঘটনায় মরম আলী নামে একজনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে বলে সাংবাদিকদের জানিয়েছে পুলিশ।গ্রেপ্তারকৃত মরম আলী ওই ইউনিয়নের ৯ নম্বর ওয়ার্ড সদস্য।
এর আগে শনিবার (৩ ডিসেম্বর) বিকেলে শান্তিপুর এলাকায় চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিককে গুলি করে হত্যা করে দুর্বৃত্তরা। তিনি টানা দুই বার মির্জাচর ইউনিয়ন পরিষদ থেকে চেয়ারম্যান নির্বাচিত হয়েছেন এবং একই ইউনিয়নের যুবলীগ সভাপতিও ছিলেন তিনি।
বাঁশগাড়ি তদন্ত কেন্দ্রের ইনচার্জ পরিদর্শক মীর মাহমুব সাংবাদিকদের জানান, চেয়ারম্যান মানিক হত্যার ঘটনায় তাঁর স্ত্রী বাদী হয়ে একটি হত্যা মামলা করেছে। এ ঘটনায় এক ইউপি মেম্বারকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। জড়িত আসামিদের ধরতে অভিযান অব্যাহত আছে।
প্রসঙ্গত, গত ইউনিয়ন পরিষদ নির্বাচনে মির্জাচর ইউনিয়ন থেকে আওয়ামী লীগ মনোনীত চেয়ারম্যান প্রার্থী ছিলেন মো. ফিরোজ মিয়া। তাঁর সঙ্গে বিদ্রোহী প্রার্থী হিসাবে লড়েই করে জয়ী হন জাফর ইকবাল মানিক। এরই জেরে দুপক্ষের মধ্যে বিরোধ দেখা দেয়। এরপরই বিভিন্ন বিষয় নিয়ে সৃষ্ট দ্বন্দ্বে এলাকা ছাড়া ছিলেন ফিরোজ সমর্থকরা।
গত শুক্রবার (২ ডিসেম্বর) এলাকার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের অনুরোধে দুটি পক্ষ বৈঠক করে। সমঝোতা না মেনে সভা থেকে উঠে যায় ফিরোজের লোকেরা। ঘটনার দিন শনিবার (৩ ডিসেম্বর) চেয়ারম্যান জাফর ইকবাল মানিক বাড়ি থেকে বের হয়ে শান্তিপুর স্কুল মাঠে গেলে তাকে লক্ষ্য করে গুলি করে দুর্বৃত্তরা। পরে হাসপাতালে নেওয়ার পথে তাঁর মৃত্যু হয়।
এবং পরদিন রোববার রায়পুরা অডিটরিয়াম মাঠে প্রথম জানাজা ও শ্রদ্ধা জানান স্থানীয় সাংসদ রাজিউদ্দিন আহমেদ রাজু্ এমপি সহ সর্বস্তরের জনগন। পরে নিহতের নিজ বাড়িতে ২য় জানাজা শেষে মরদেহ দাফন করা হয়।
নরসিংদীর কন্ঠস্বর / এম আজিজুল ইসলাম