ডেস্ক রিপোর্ট : নরওয়ের এক চরমপন্থি ইসলাম বিরোধী দলের নেতা শনিবার অসলোর উপকণ্ঠে জনসমক্ষে পবিত্র কোরআন শরীফ পুড়িয়ে দেন। এই ঘটনার কয়েক মিনিট যেতে না যেতেই গাড়ি দুর্ঘটনার শিকার হয়েছেন তিনি। অভিযোগ উঠেছে, আরেক গাড়ির ধাওয়ায় এ দুর্ঘটনা ঘটে।
ভয়েস অব আমেরিকার প্রতিবেদন অনুযায়ী, নরওয়ের পুলিশ জানিয়েছে, তারা ‘স্টপ দ্য ইসলামাইজেশন অব নরওয়ে’ নামক চরমপন্থি গ্রুপের নেতা লার্স থরসেনের এসইউভিকে ইচ্ছা করে ধাক্কা দেয়ার জন্য অভিযুক্ত একটি গাড়ির চালকসহ দুজনকে গ্রেপ্তার করেছে। পুলিশ জানিয়েছে, ওই এসইউভি-তে থাকা পাঁচ যাত্রীই আহত হয়েছে। তাদের মধ্যে একজনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
এদিকে এই ঘটনার ভিডিও ছড়িয়ে পড়েছে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে। ভিডিওতে দেখা গেছে, থরসেন দলবল নিয়ে গাড়িতে চেপে প্রথমে অসলোর মুসলিম অধ্যুষিত এলাকা মর্টেন্সরুডে যায়।
এরপর চৌরাস্তায় পবিত্র কোরআন রেখে সমবেত মুসল্লিদের সামনেই তাতে আগুন ধরিয়ে দেয়। পবিত্র ধর্মগ্রন্থের এমন অপমান দেখে মুসল্লিরা আগুন নেভানোর জন্য এগিয়ে আসে। বিক্ষুব্ধদের দেখে দ্রুত সরে পড়ে থরসেন নামে ওই উগ্রপন্থী নরওয়েজিয়ান।
থরসেনকে খেদিয়ে দেয়ার পর জ্বলন্ত কোরআনটি তুলে নেন একজন নারী। তারপর তিনি একটি ধূসর রঙের মার্সিডিজে চড়ে বসেন। উগ্রপন্থী থরসেনও ততক্ষণে নিজের গাড়িতে উঠে বসেন। তারপর আরো একটি কোরআন বের করে সেটিতে আগুন লাগিয়ে মেটি গাড়ির জানালার বাইরে হাতে ধরে যেতে থাকেন।
দ্বিতীয় কোরআনটি পোড়ানোর পর এসইউভিটি ঘটনাস্থল থেকে পালায়। কিন্তু কিছুক্ষণের মধ্যেই সেটিকে ওভারটেক করে একটি মার্সিডিজ গাড়ি। তখনই সেটি থরসেনের গাড়িটিকে সামান্য আঘাত করে। কিন্তু বেশি গতি থাকায় সামান্য ধাক্কাতেই থরসেনের গাড়ি উল্টে যায়। পুরো ঘটনাই পেছনে থাকা আরেকটি গাড়ি থেকে ভিডিও করা হয়।