নরসিংদীতে মসজিদে দান করা জমি অবৈধভাবে দখলে বাধা দেয়ায় সাখাওয়াত হোসেন (৪২) নামে এক দোকানদারকে কুপিয়ে গুরুতর আহত করেছে সন্ত্রাসীরা। এসময় তার দোকান ভাংচুর ও লুটপাট করা হয়। রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে সদর থানার চিনিশপুর ইউনিয়নের টাওয়াদী গ্রামে এই হামলার ঘটনা ঘটেছে।
আহত সাখাওয়াত হোসেন টাওয়াদী গ্রামের আব্দুল মজিদের ছেলে। তাকে নরসিংদী ১০০ শয্যা বিশিষ্ট জেলা হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে। সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
পুলিশ ও আহতের পরিবারের সদস্যরা জানান, সাখাওয়াত হোসেন এর নানী ফুল মেহের বিবি বছর প্রায় ৪০ বছর আগে শহরের দত্তপাড়া দারুল উলুম মাদ্রাসা ও মসজিদের নামে টাওয়াদীতে ৫ শতাংশ জমি দান করেন। দীর্ঘদিনেও ওই জমিতে কোন স্থাপনা নির্মাণ করেননি মসজিদ কর্তৃপক্ষ।কতিপয় ভূমিদস্যু একাধিকবার ওই জমি দখলে নেয়ার চেষ্টা করে। জমিদাতার পরিবারের সদস্য ও স্থানীয়দের বাধার মুখে জমিটি তারা দখল করতে ব্যর্থ হয়। পরে বাড়ির পাশের পরিত্যক্ত ওই জমিতে ময়লা আবর্জনা ফেলা বন্ধ করা ও ভূমিদস্যুদের কবল থেকে রক্ষা করতে জমির প্রবেশ মুখে চা এর দোকান করেন সাখাওয়াত হোসেন।
এই জমি দখলে নিতে স্থানীয় কতিপয় সন্ত্রাসী গত শনিবার হামলা চালিয়ে দোকান ভাংচুর করাসহ সাখাওয়াত হোসেন ও তার পিতা আব্দুল মজিদকে মারধর করে। এসময় স্থানীয়দের বাধার মুখে তারা হুমকি দিয়ে পালিয়ে যায়।
পরে আবারও রোববার রাত সাড়ে ৯টার দিকে ধারালো অস্ত্রশস্ত্র নিয়ে হামলা করে একদল সন্ত্রাসী। এসময় দোকান ভাংচুর করে সাখাওয়াতকে মাথায় ও শরীরে কোপাতে থাকে। ডাক চিৎকারের আশেপাশের লোকজন এগিয়ে আসলে তারা পালিয়ে যায়। গুরুতর আহতাবস্থায় সাখাওয়াত হোসেনকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয়েছে।
খবর পেয়ে নরসিংদীর অতিরিক্ত পুলিশ সুপার একেএম শহিদুল ইসলাম সোহাগ, সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূঁইয়া ও জেলা গোয়েন্দা শাখার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা আবুল বাশারের নেতৃত্বে পুলিশ ঘটনাস্থল পরিদর্শন করেন। রাতেই এই ঘটনায় আহতের পিতা আব্দুল মজিদ বাদী হয়ে ৯ জনের নাম উল্লেখসহ ১৮-২০ জনের বিরুদ্ধে মামলা করেন।
সদর মডেল থানার ভারপ্রাপ্ত কর্মকর্তা (ওসি) আবুল কাশেম ভূইয়া বলেন, মামলার প্রধান আসামী টাওয়াদী এলাকার আব্দুল আজিজকে রাতেই গ্রেপ্তার করার পর সোমবার সকালে আদালতে পাঠানো হয়েছে। অন্য আসামীদের গ্রেপ্তারের চেষ্টা চলছে।