নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর শিবপুরে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে সিরাজ খন্দকার (৫০) কে পিটিয়ে হত্যার ঘটনায় জড়িত অভিযোগে তার বড় ভাই ইব্রাহিম খন্দকারকে আটক করেছে পুলিশ। আজ বৃহস্পতিবার ভোর সাড়ে পাঁচটার দিকে নরসিংদীর মাধবদী থানার মহিষাশুড়া ইউনিয়নের বথুয়াদী গ্রাম থেকে তাকে আটক করা হয়। শিবপুর মডেল থানার অফিসার ইনচার্জ (ওসি) মোঃ সালাউদ্দিন মিয়া এই তথ্য নিশ্চিত করেছেন।
আটককৃত ইব্রাহিম খন্দকার (৬০) শিবপুরের মাছিমপুর ইউনিয়নের মিয়ারগাঁও গ্রামের পশ্চিমপাড়া এলাকার মৃত আফসার উদ্দিন খন্দকারের ছেলে এবং নিহত সিরাজ খন্দকারের বড় ভাই।
এর আগে বুধবার (৯ নভেম্বর) সকাল ১০টার দিকে জমি নিয়ে বিরোধের জেরে প্রতিপক্ষের হামলায় নিহত হয় সিরাজ খন্দকার। এ ঘটনার পর থেকে প্রতিপক্ষ ইব্রাহীম খন্দকার এর স্ত্রী ফিরোজা বেগম, মেয়ে মদিনা আক্তার, জামাতা শামসুল মিয়া, ছেলে হোসেন খন্দকার ও শাহেদ খন্দকার গা ঢাকা দিয়েছে।
নিহতের পরিবার ও স্থানীয়রা জানান, সিরাজ খন্দকাররা ছয় ভাই। পিতা আফসার উদ্দিন খন্দকার তার অন্যান্য ছেলেদের থেকে দুই গন্ডা জমি বেশী দিয়ে গেছে সিরাজ খন্দকারকে। এরই জেরে দীর্ঘদিন ধরে ইব্রাহিম খন্দকার ও সিরাজ খন্দকার পাল্টাপাল্টি মারামারি, ভয়ভীতি, হুমকি ধমকি দিয়ে আসছে। এতে সিরাজ খন্দকার থানায় ও কোর্টে ভাইদের আসামী করে একাধিক মামলা করে। ফলে ভাইয়েরা তার প্রতি আরোও ক্ষিপ্ত হয়।
এ নিয়ে এলাকায় স্থানীয়ভাবে একাধিক সালিশ বৈঠক হলেও তাদের ঝগড়াঝাটি থামেনি। ঘটনার দিন সকালে পুনরায় ইব্রাহিম খন্দকারের নামে কোর্ট থেকে মামলার নোটিশ পেলে সে ক্ষিপ্ত হয়ে ছোট ভাই সিরাজ খন্দকারের মুরগির ফার্মের ভিতরে প্রবেশ করে ইব্রাহীম খন্দকার, তার স্ত্রী ও ছেলেমেয়ে নিয়ে অতর্কিতে হামলা চালায় এবং তাকে দেশীয় অস্ত্রশস্ত্র দিয়ে এলোপাথাড়ি মারপিট করে গুরুতর আহত করে।
পরে সিরাজের ডাক চিৎকারে আশপাশের লোকজন এসে তাকে উদ্ধার করে শিবপুর উপজেলা হাসপাতালে প্রেরণ করেছে। অবস্থা গুরুতর দেখে হাসপাতাল কর্তৃপক্ষ তাকে নরসিংদী সদর হাসপাতাল পাঠায়। নরসিংদী সদর হাসপাতালে নেওয়ার পর কর্তব্যরত ডাক্তার সিরাজ খন্দকারকে মৃত ঘোষণা করে। নিহতের স্ত্রী মোসলেমা (৪০) গুরুতর আহত অবস্থায় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।