সাব্বির হোসেন, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর পলাশে গাছে গাছে শোভা পাচ্ছে গ্রীষ্ম মৌসুমের বেশ জনপ্রিয় পুষ্টিগুণ সম্পন্ন রসালো জাতীয় ফল কাঁঠাল। যদিও পুরো পাকা পুক্ত কাঠাল হওয়ার সময় বাঁকী রয়েছে আরও মাস খানেক।
পলাশ উপজেলার প্রত্যেকটি বাড়িতে, রাস্তার ধারে ও জঙ্গলের ভেতরে থাকা গাছে ধরেছে প্রচুর কাঁঠাল। গাছের গোড়া থেকে আগা পর্যন্ত দেখা যাচ্ছে সর্বোচ্চ পুষ্টিগুণসমৃদ্ধ এই ফল।
এখানকার মানুষের অতি প্রিয় ফল ও তরকারি হিসেবে কাঁঠাল যুগ যুগ ধরে কদর পেয়ে আসছে। কাঁঠালের বিচি এখানকার মানুষের একটি ঐতিহ্যপূর্ণ তরকারি। বিশেষ করে কাঁঠালের বিচ দিয়ে শুটকি ভর্তা অত্যন্ত প্রিয় সকলের। বিভিন্ন ধরনের শাক ও কাঁঠালের বিচির সমন্বয়ে রান্না করা তরকারি এখানকার মানুষ তৃপ্তির সঙ্গে ভাত খেতে পারেন। তাছাড়া গবাদিপশুর জন্যও কাঁঠালের ছাল উন্নতমানের গো-খাদ্য হিসেবে ব্যবহৃত হয়। বহুগুণ সমৃদ্ধ এ কাঁঠাল এখানকার হাট-বাজারে এখনও উঠতে শুরু করেনি। তবে জ্যৈষ্ঠের শেষ ও আষাঢ় মাসের শুরু থেকে এখানকার হাট-বাজারে কাঁঠাল কেনাবেচা শুরু হবে।
কাঁঠাল বিক্রেতা বিল্লাল হোসেন জানান, এবছর বাড়ির গাছগুলোতে অনেক কাঁঠাল ধরেছে। কাঁঠাল উৎপাদনে আলাদা তেমন কোনো যত্ন নিতে হয় না বলে এর উৎপাদন খরচও নেই।
উপজেলার রাবান বাজারে কথা হয় সুকুমারের সাথে তিনি বলেন, এ বছর কাঁঠাল গাছে অনেক কাঁঠাল এসেছে। আশা করছি আবহাওয়া অনুকূলে থাকলে দাম ভালো পাওয়া যাবে।
খাদিজা বেগম নামে এক গৃহিনী জানান, কাঁঠালের তরকারিও খেতে অনেক ভালো লাগে। আর কাঁঠালের তরকারি আমার পরিবারের সবার খুব পছন্দের খাবার।বাড়িতে কাঁঠালের গাছ রয়েছে। কাঁঠালও অনেক ধরেছে। আশা করছি এবার খাওয়ার পরও কিছু কাঁঠাল বিক্রি করবো।
ঘোড়াশাল পৌর এলাকার পাইকসার গ্রামের সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের অবসর প্রাপ্ত শিক্ষক সমীর কান্তি দেবনাথ বলেন, কাঁঠাল আমার একটি প্রিয় ফল। এটি অত্যাধিক পুষ্টিগুণ সমৃদ্ধ ফল। কাঁঠালের কোন অংশই পরিত্যক্ত থাকে না।
এ ব্যাপারে পলাশ উপজেলা কৃষি কর্মকর্তা কৃষিবিদ আয়েশা আক্তার বলেন, গত বছরের তুলনায় এ বছর উপজেলায় কাঁঠাল ভালো হয়েছে। দিন দিন উপজেলার মানুষের মাঝে কাঁঠালের চারা রোপনের আগ্রহ বাড়ছে।