এম আজিজুল ইসলাম, নিজস্ব প্রতিবেদক : নরসিংদীর রায়পুরায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ভুয়া পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে ডাকাতির ঘটনা ঘটেছে। ডাকাতরা দুটি মাইক্রোবাস ও প্রাইভেটকার ভাঙচুর করে অস্ত্রের মুখে যাত্রী ও চালকদের জিম্মি করে মোবাইল ফোন, সোনার গহনা ও নগদ অর্থ ছিনিয়ে নেয়। বৃহস্পতিবার (২০ ফেব্রুয়ারি) দিবাগত রাত পৌনে ১টার দিকে উপজেলার মাহমুদাবাদ নামাপাড়া এলাকায় এ ঘটনা ঘটে।
জানা যায়, ডাকাতির শিকার হওয়া ব্যক্তিরা ভৈরব থানায় গিয়ে অভিযোগ দিতে চাইলে পুলিশ জানায়, ঘটনাটি তাদের অধীনস্থ এলাকায় নয়। এরপর অভিযোগ গ্রহণ না করে তাদের রায়পুরা থানায় যাওয়ার পরামর্শ দেওয়া হয়। পরে ভুক্তভোগীরা অভিযোগ না দিয়েই রাতের মধ্যে গন্তব্যে চলে যান।
ভৈরব থানার সামনে ভুক্তভোগীদের একটি ভিডিও ধারণ করে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম ফেসবুকে শেয়ার করেছেন এস এম দুর্জয় নামে এক ব্যক্তি। মাত্র তিন মিনিটের ওই ভিডিওতে ডাকাতির শিকার ব্যক্তিরা তাদের ভয়াবহ অভিজ্ঞতার বর্ণনা দেন।
ভুক্তভোগীদের ভাষ্যমতে, একটি মাইক্রোবাস ও একটি প্রাইভেটকার করে সিলেটের একটি মাজারের উদ্দেশ্যে রওনা হয়েছিলেন তারা। গাড়ি দুটি ছিলেন বেশ কয়েকজন নারী-পুরুষ ও শিশু। উপজেলার মাহমুদাবাদ এলাকায় ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে পৌঁছালে চেকপোস্টে থাকা কিছু ব্যক্তি তাদের গাড়ি থামান। গাড়ি থামার সঙ্গে সঙ্গেই মুখোশধারী একদল ডাকাত হামলে পড়ে। ডাকাতরা অস্ত্রের মুথে যাত্রীদের জিম্মি করে মোবাইল ফোন, সোনার গহনা, নগদ অর্থ লুট করে নেয়। এছাড়া গাড়ি ভাঙচুরও চালায় তারা। তবে এ ঘটনায় কোন যাত্রী বা চালক আহত হয়নি। ডাকাত দল সরে যাওয়ার পর যাত্রী ও চালকরা দ্রæত নিরাপদ স্থানে চলে যান।
ডাকাতির শিকার হওয়া দুই ভুক্তভোগীর মোবাইল নম্বর পাওয়া গেলেও তাদের ফোন দুটি বন্ধ থাকায় তাদের পরিচয় শনাক্ত করা সম্ভব হয়নি।
ঢাকা-সিলেট মহাসড়কে ডাকাতির ঘটনায় পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন উঠেছে। অভিযোগ রয়েছে, ঘটনাস্থল থেকে কিছু দূরেই হাইওয়ে পুলিশের একটি চেকপোস্ট থাকলেও দুর্বৃত্তরা নির্বিগ্নে ডাকাতি চালিয়েছে।
ভৈরব হাইওয়ে থানার ওসি নুরুল হক জানান, ওই রাতে মহাসড়কে পুলিশের টহল ছিল। তবে ভুয়া পুলিশ চেকপোস্ট বসিয়ে ডাকাতির কোন তথ্য তাদের কাছে নেই। তিনি বলেন, এ ঘটনায় কেউ এখনো কোন অভিযোগ দেয়নি।